May 20, 2024, 7:31 pm

সংবাদ শিরোনাম
পটুয়াখালীতে মাসব্যাপী তাঁত শিল্প মেলা শুরু হয়েছে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ৩ লক্ষ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি -বিশিষ্ট সাংবাদিক আতিকের রংপুর খামার মোড়ে প্রবাসীর বাসায় হামলার চেষ্টা, আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার ইসলামপুরে যমুনা পাড়ের হত দরিদ্রদের মাঝে বকনা গরু বিতরণ কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ অভিযানে ৭ লক্ষ ইয়াবাসহ আটক ৪ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যাবার সময় বাধা দিলে ৯৯৯ জানালেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা শাহপরাণ (রহঃ) থানা পুলিশের অভিযানে ১৯,৬০০ কেজি ভারতীয় চিনিসহ ০৩ জন গ্রেফতার উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে অভিযানে ৪ আরসা সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার রাজধানীর ডেমরা এলাকা হতে আনুমানিক ছয় কোটি টাকা মূল্যমানের ৮৬০০ লিটার বিদেশী মদসহ ০৩ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ উলিপু‌রে পাঁচ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

যশোর হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বদলে রোগী দেখেন মেডিকেল সহকারীরা

বিল্লাল হুসাইন,যশোর জেলা ব্যুরো প্রধানঃ

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে প্রতিনিয়ত রেফার করছেন। কিন্তু এই হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বদলে অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের কপালে জোটে মেডিকেল সহকারীদের ব্যবস্থাপত্র। অভিযোগের প্রমাণও মিলেছে বুধবার হাসপাতালের গাইনি বহিঃবিভাগে। সকালে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গাইনি বিশেষজ্ঞর ব্যবস্থাপত্র নিতে আসেন আম্বিয়া খাতুন (২৫)। তিনি মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে রেফার করেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী জেনারেল হাসপাতালের বহিঃবিভাগে এসে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখানোর জন্য পাঁচ টাকা দিয়ে টিকিট নিয়ে ১১৪ নং কক্ষে যান। এ সময় রুটিন অনুযায়ী ডা. ইলা মন্ডল থাকার কথা থাকলেও তার অনুপস্থিতিতে সকাল থেকে রোগী দেখেন হালিমাতুজ জোহরা মুক্তি। কিন্তু তিনি প্রশাসনকে না জানিয়ে নিজের ব্যক্তিগত কাজে বাহিরে যান। এ সময় তার কক্ষে থাকা মেজবাউর রহমান মেডিকেল কলেজ থেকে প্রশিক্ষণ নিতে আসা মেডিকেল সহকারী আম্বিয়াকে ব্যবস্থাপত্র দেন। একইভাবে অভিযোগ করেছেন বসুন্দিয়া থেকে চিকিৎসা নিতে আসা লাবুয়াল হকের মেয়ে তন্নি (১৯)। শুধু গাইনি বহিঃবিভাগেই নয় এমনি অভিযোগ করেছেন হাসপাতালের চক্ষু বহিঃবিভাগের রোগীরাও। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসা নিতে আসা বেজপাড়া এলাকার গোপীনাথ দাসের মেয়ে ওমিশা দাস (২১)। তিনি জানান, চোখের সমস্যা নিয়ে চক্ষু বিভাগে গেলে সেখানে কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন না। এ সময় মেডিকেল সহকারী আব্দুল্লাহ তাকে ব্যবস্থাপত্র দেন। পরে ব্যবস্থাপত্র তার পিতার সন্দেহ হওয়া তিনি অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে ডা. হিমাদ্রী শেখর সরকারকে দেখান। চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে লেখা চোখে দেওয়ার ড্রপ পরিবর্তন করে নতুন করে ব্যবস্থাপত্র দেন। এভাবে হাসপাতালে বহিঃবিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা প্রতারণা ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলে রোগীরা অভিযোগ করেন।এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে এ ধরনের কোন অভিযোগ তার কছে আসেনি। তবে বিহিঃবিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২১ ডিসেম্বর ২০১৯/ইকবাল
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর